সিজদায় দোয়া করার নিয়ম
কোন বান্দা যখন সেজদায় চলে যায় সে আল্লাহর নৈকট্যে চলে যায়। সেজদা মানে হচ্ছে মহান আল্লাহতালা অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার দরবারে মাথা লুটিয়ে দেওয়া। সেজদা শব্দটি আরবি একটি শব্দ।
![]() |
সিজদা |
ইসলামে সেজদা করার সঠিক নিয়ম রয়েছে অবশ্যই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের এই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী সেজদা করা উচিত।
সিজদায় দোয়া করার নিয়ম?
সেজদায় দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়ে থাকে। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম বলে গিয়েছেন -বান্দা যখন সেজদারত অবস্থায় থাকে তখন সে রবের সবথেকে বেশি নিকটবর্তী হয়। তাই এ সময়ে বেশি দোয়া পড়তে হবে।সেজদায় দোয়া করার জন্য সর্বপ্রথম সিজদার তাসবিহ পড়ে নিতে হবে। তাই এই সময়ে সুবহানা রাব্বিল আলা বা অন্য কোন তাসবীহও তিনবার পড়ার পরেই দোয়া শুরু করতে হবে, হোক সেটা ফরজ সুন্নত অথবা নফল।
তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে ফরজ নামাজে সেজদা আদায় করা বৈধ কিন্তু এই নিয়ে অনেক আলেমদের মধ্যে মতাপার্থক্য রয়েছে। মানুষের যে জিনিসটি করার সাধ্য নেই মহান আল্লাহতালার কাছে মানুষ সেজদারত অবস্থায় সেই জিনিসটি চাইতে পারবে।
তাছাড়া যদি কোন ভুল করে থাকে তাহলে সেজদারত অবস্থায় মহান আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চাওয়া যাবে।তাই অবশ্যই সঠিক নিয়মে সেজদা আদায় করতে হবে আল্লাহর নিকট।
সিজদায় বাংলা দোয়া করা যাবে কিনা?
সেজদায় আরবি আয়াত অনুযায়ী দোয়া পাঠ করা উচিত। তারপরে চাইলে মাতৃভাষায় আল্লাহর কাছে কিছু চাইতে পারেন। অর্থাৎ মাতৃভাষা যদি বাংলা হয়ে থাকে তাহলে সেজদার দোয়া পাঠ করার পর বাংলায় কিছুটা বলা যেতে পারে।তবে সকল সময় চেষ্টা করতে হবে সেজদার যে আরবি দোয়াটি রয়েছে সেটি পড়ার জন্য তাহলে নামাজটি পরিপূর্ণ হবে।অর্থাৎ সঠিক নিয়ম হচ্ছে নামাজের সেজদায় শুধুমাত্র কোরআন মাজিদে বর্ণিত দোয়া গুলো পাঠ করা উচিত।
ফরজ নামাজের সিজদায় দোয়া করা যাবে কিনা?
ফরজ নামাজের সিজদায় গিয়ে তাসবিহ পড়া সুন্নত। ফরজ নামাজে কেউ চাইলে ইচ্ছামতো দোয়া পাঠ করতে পারবেন না।ফরজ নামাজে সেজদায় দোয়া পাঠ করা যাবে। কেননা সুন্নত নফল ও ফরজ নামাজের সেজদায় দোয়া করা জায়েজ রয়েছে।তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদায় দোয়া?
তাহাজ্জুদের সেজদায় অবশ্যই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সঠিক দোয়াটি পড়া উচিত। নিচে তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়াটি উল্লেখ করা হলোঃআউজু বিরিজাকা মিন সাখাতিকা, ওয়া বিমুআফাতিকা মিন উকুবাতিকা লা উহসি ছানাআন আলাইকা আনতা কামা আছনাইতা আলা নাফসিকা।
অর্থঃ হে মহান আল্লাহ আমি তোমার অখুশি থেকে খুশির আশ্রয় চাই। তোমার শাস্তি থেকে তোমার ক্ষমার আশ্রয় চাই। তোমার পূর্ণ প্রশংসা করা আমার সাধ্যতীত, তুমি তেমন গুনেই গুণান্বিত যেভাবে তুমি নিজের গুণ উল্লেখ করেছো।