মুসাফিরের নামাজ পড়ার নিয়ম | মুসাফিরের নামাজ কয় রাকাত
মুসাফির অবস্থায় নামাজ পড়াকে মুসাফির নামাজ বলা হয়ে থাকে। মুসাফির অর্থ হচ্ছে ভ্রমণকারী। অর্থাৎ মুসাফিররা ভ্রমণ অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে নামাজ পড়ে থাকেন।
![]() |
নামাজ |
নিচে মুসাফিরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও মুসাফিরের নামাজ পড়ার নিয়ত সমূহ তুলে ধরা হলোঃ
মুসাফির ব্যক্তির নামাজ পড়ার নিয়ম?
মুসাফিরদের নামাজ হচ্ছে মুসলিম পর্যটকদের একটি বৈশিষ্ট্য। মুসাফির ব্যক্তি পথে অবস্থানকালে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ যোহর আসর ও এশার ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়বে। একে সাধারণত কসরের নামাজ বলা হয়ে থাকে।তিন বা দুই রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ, ওয়াজিব নামাজ এরকমভাবে সুন্নত নামাজ পূর্ণ করতে হবে। এটা হচ্ছে পথের মধ্যে থাকাকালীন সময়ের বিধান। আর যদি কারো গন্তব্যে পৌঁছানোর পর সেখানে ১৫ দিন বা তার বেশি সময় থাকার ইচ্ছা থাকে তাহলে কসর নামাজ পড়লে হবে না তাকে পরিপূর্ণ নামাজ পড়তে হবে।
আর যদি কেউ ১৫ দিনের কম থেকে থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে কসর নামাজ পড়লেই হবে। গন্তব্য স্থল যদি নিজের বাড়ি হয়ে থাকে তাহলে কছর নামাজ হবে না সে যে কদিনই থাকুক না কেন।
মুসাফির ব্যক্তিদের জন্য মহান আল্লাহ তা'আলা নামাজ ছোট করে দিয়ে উপহার প্রদান করেছেন। তাই প্রত্যক মুসাফিরের উচিত এই ওয়াজিব গ্রহণ করা।
অনেক হাদিসে বলা হয়েছেঃ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম হজ্ব ওমরা ও যুদ্ধসহ যে কোন সফরে কছর নামাজ আদায় করতেন।তাছাড়া আবু বক্কর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এই ধরনের নামাজ আদায় করতেন।
মুসাফিরের জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম?
মুসাফির ব্যক্তিদের জন্য মুকিমের ইমাম হয়ে নামাজ পড়া জায়েজ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে মুসাফির ব্যক্তি দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরাবে ও মুকিম একাকী নামাজ শেষ করে নিবে। প্রত্যেক মুসাফিরের জন্য মুস্তাহাব হলো সালাম ফিরিয়ে মুক্তাদির করা - আপনারা নামাজ পূর্ণ করুন আমি মুসাফির।মুসাফির ব্যক্তি যদি মুকিমের পেছনে নামাজ পড়ে তাহলে কসর নামাজ পড়লে হবে না পূর্ণ নামাজই পড়তে হবে। অর্থাৎ মুসাফির ব্যক্তির যদি ইমামের সাথে নামাজ পড়ে থাকেন তাহলে চার রাকাত পড়বে ও একাকী পড়লে দুই রাকাত পড়বে।
মুসাফিরের নামাজ কয় রাকাত?
মুসাফির ব্যক্তি যদি পথে অবস্থান করে থাকে তাহলে চার রাকাত ফরজ নামাজ কে দুই রাকাত পড়তে হবে। আর যদি মুসাফির ব্যক্তি পথে অবস্থানকালে কোন ইমামের পিছনে নামাজ পড়ে থাকে।তাহলে চার রাকাত ফরজ নামাজ তাকে চার রাকাতে পড়তে হবে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে তাকে কসরের নামাজ পড়লে হবে না নামাজটা পরিপূর্ণ করতে হবে।
শেষ কথা, আশা করি ইতিমধ্যে মুসাফিরের নামাজ পড়ার নিয়ম বা মুসাফির ব্যক্তি কিভাবে নামাজ পড়বে এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।
তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।