বাচ্চাদের বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া | বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া
মানুষের উপর অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বদনজর হয়ে থাকে। শুধুমাত্র মানুষই দ্বারা বদ নজর হয় না অনেক ক্ষেত্রে জিনের দ্বারাও বদ নজর হয়ে থাকে। বদ নজর হচ্ছে মানুষের কুদৃষ্টি। এই সমস্যাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা আক্রান্ত হয়ে থাকে।
![]() |
বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া |
তাই অনেকেই বদনজর থেকে মুক্তির উপায় বা কিভাবে বদনজর থেকে রেহাই পাবেন এই নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের পোস্টে বদ নজর থেকে মুক্তির উপায় ও বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ
বদ নজর থেকে মুক্তির উপায়?
বদনজর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুসলমানদের জন্য কয়েকটি দোয়া রয়েছে। অর্থাৎ এই দোয়াগুলো পাঠ করলে বদনজরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদি কারো কোন কারণে বদনজর লেগে থাকে তাহলে নিচের দোয়াগুলো পড়ার মাধ্যমে খুব সহজেই বদনজর কাটিয়ে ফেলা যায়।বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া?
বদ নজর কাটানোর জন্য নিয়মিত কুরআনে আমলগুলো পড়া যেতে পারে। নিয়মিত কুরআনী আমল গুলো পড়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহতালা বদ নজরে সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।সূরা ফাতিহা পড়া, আয়াতুল কুরসি পড়া, সূরা বাকারার শেষের দুই আয়াত, সূরা ইখলাস পড়া, সূরা ফালাক পড়া, এবং সূরা নাস পড়া যেতে পারে। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে বদ নজর থেকে মুক্তির জন্য ঝাড়ফুঁক দেওয়া হয় এবং সেখানে কিছু দোয়া পাঠ করা হয়ে থাকে।
দোয়া ১ঃ বিসমিল্লাহি আরক্বিকা মিং কুল্লি শাইয়িন ইয়ুজিকা ওয়া মিন সাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসাদিল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরক্বিকা।
অর্থঃ আল্লাহর নামে কষ্ট দানকারীর সকল অনিষ্ঠতা থেকে তোমাকে ঝাড়ফুঁক করছি। হিংসুখ ব্যক্তির কুদৃষ্টি থেকে আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ফুঁক করছি। আল্লাহর নামে তোমাকে আরোগ্য দান করতে ঝাড়ফুক করছি।
দোয়া ২ঃ আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়ত্বানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিনলিআম্মাতিন।
অর্থঃ মহান আল্লাহর পরিপূর্ণ কালাম সমূহের মাধ্যমে শয়তানের সব আক্রমণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণী ও বদনজর কারের অনিষ্ঠতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।
দোয়া ৩ঃ বিসমিল্লাহি ইউবরিকা ওয়া মিন কুল্লি দাঈন ইয়াশফিকা, ওয়া মিন শাররি হাসাদিন ইজা হাসাদা, ওয়া মিন শাররি কুল্লি জি আইনিন।
অর্থঃ মহান আল্লাহর নামে শুরু করেছি তিনি তোমাকে মুক্ত করুন, প্রত্যেক অসুখ থেকে তোমাকে আরোগ্য দান করুক, প্রত্যেক হিংসুকের হিংসা থেকে এবং প্রত্যেক বদ নজরের অনিষ্ট থেকে।
শিশুদের বদ নজর থেকে বাচার দোয়া?
শিশুদের বদনজর থেকে বাঁচার জন্য উপরের দোয়া গুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি পাঠ করা যেতে পারে। অর্থাৎ শিশুদের কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার আগে অবশ্যই এই দোয়াটি পড়ে শিশুর বুকে ফু দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাহলে বদননজরের সমস্যা থেকে অনেকটা শিশুকে দূরে রাখা যায়।বদ নজর লাগলে করণীয়?
কারো যদি বদনজর লাগে বা শিশুদের যদি এই সমস্যাটা হয়ে থাকে তাহলে ঘাবরিয়ে না গিয়ে নামাজরত অবস্থায় এই দোয়াগুলো পড়ে ঝাড়ফুক দেওয়া যেতে পারে। তাহলে মহান আল্লাহতালার কৃপায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বদ নজরের সমস্যাটা কাটিয়ে ফেলা যায়।শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা বদ নজর থেকে মুক্তির উপায় বা কিভাবে বদ নজর থেকে দূরে থাকা যায় এই বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।
তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।