অজু ভঙ্গের কারণ ৭টি | অজু ভঙ্গের কারণ
মৌলিকভাবে অজু ভঙ্গের কারণ ৭টি। যেমনঃ
১. পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বাহির হওয়া
যেমনঃ
- বায়ু
- পেশাব
- পায়খানা
- পোকা ইত্যাদি।
![]() |
অজু ভঙ্গের কারণ |
হজরত আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত নিশ্চয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে শরীর থেকে যা কিছু বের হয়, তার কারণে অজু ভেঙ্গে যায়। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি হাদিস নং-৫৬৮)।
২. রক্ত, পূঁজ, কিংবা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া
হজরত আব্দুল্লাহ বিন উমর (রা.) এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরে পরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অজু করে নিতেন। [মুয়াত্তা মালিক-১১০]
৩. মুখ ভরে বমি করা
হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তির বমি হয় বা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, অথবা মজি (সহবারের আগে বের হওয়া সাদা পানি) বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অজু করে নিবে। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-১২২১]
৫. থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া
হাসান বসরি রহ. বলেন, যে ব্যক্তি তার থুথুতে রক্ত দেখে কিন্তু থুথুতে রক্ত প্রবল না হলে তার ওপর অজু করা আবশ্যক হয় না। [মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস নং-১৩৩০]৫. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সিজদা অবস্থায় ঘুমালে অজু ভঙ্গ হয় না, কিন্তু চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে অজু ভেঙ্গে যাবে, কেননা চিৎ বা কাৎ হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়। [ফলে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে] (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-২৩১৫)।৬. পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে
হজরত হাম্মাদ (রহ.) বলেন, যে যখন পাগল ব্যক্তি সুস্থ্ হয় তখন নামাজের জন্য তার অজু করতে হবে। [মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-৪৯৩]৭. নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে
হজরত ইমরান বিন হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নামাজে উচ্চস্বরে হাসে, সে ব্যক্তি অজু এবং নামাজ পুনরায় আদায় করবে।হযরত হাসান বিন কুতাইবা (রহ.) বলেন, যখন কোন ব্যক্তি উচ্চস্বরে হাসি দেয়, সে ব্যক্তি অজু এবং নামাজ পুনরায় আদায় করবে। [সুনানে দারা কুতনি, হাদিস নং-৬১২]