গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার উপায় | গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল
আমাদের দেশের সব বাবা মায়েরা চায় তাদের সন্তান যেন ফর্সা হয়ে জন্মগ্রহণ করে। অনাগত শিশুর গায়ের রং যেন উজ্জ্বল হয় এমন প্রত্যাশা সকল পিতা মাতারেই। যদি গর্ভবতী মায়েরা তাদের খাদ্য গ্রহণের দিকে খেয়াল রাখে। তাহলে তারা তাদের কাঙ্খিত ফর্সা সন্তান পেলেও পেতে পারে।
![]() |
গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল |
এজন্য প্রয়োজন হবে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি জীবনধারণের কিছু পরিবর্তনের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্যের উপর সন্তানের গায়ের রং নির্ভরশীল নয়। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে থাকে বাবা মায়ের জীবনের উপর।
ত্বকের সৌন্দর্যের পাশাপাশি একজন গর্ভবতী মায়ের উচিত এমন শিশু প্রত্যাশা করা যে সুস্থ, মেধাবী এবং স্বাভাবিক হবে।
গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার উপায়?
গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার পাশাপাশি সুস্থ, মেধাবী এবং স্বাভাবিক হবে যেসব টিপস অনুসরণ করলে তা নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হল। সময় মত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত অনেক বেশি ক্ষুধা পেয়ে থাকে। শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই সময় মত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।আর অবশ্যই অ্যালকোহল গ্রহণ পরিহার করতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে কারণ খুব বেশি ওজন হলে প্রি ম্যাচিউর বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা শিশুর আইকিউের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিদিন কম করে হলেও ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে সন্তানের মস্তিষ্কের গঠন এবং শারীরিক গঠনে সহায়তা করবে।
গর্ভবতী মহিলারা জাফরান দেওয়া দুধ পান করলে গর্ভের শিশু ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রচলিত মত অনুযায়ী, নারিকেলের সাদা শাঁস খেলে গর্ভবতী মায়ের গর্ভের সন্তান ফর্সা হয়। তবে অতিরিক্ত নারকেল খাওয়া ভালো নয়, পরিমিত পরিমাণ নারকেল খেতে পারেন। গর্ভবতী অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে দুধ পান করতে পারেন।
দুধ শিশুর শারীরিক বিকাশে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তেমনি মানসিক বিকাশে ভূমিকা পালন করে। এটা শিশুর ত্বক ফর্সা করে থাকে। গর্ভবতী অবস্থায় ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যায় কারণ এটা বিশ্বাস করা হয় যে, গর্ভবতী অবস্থায় দ্বিতীয় তিনমাসে ডিমের সাদা অংশ খেলে পেটের বাচ্চা ফর্সা হয়।
এছাড়াও নিয়মিত চেরি ও বেরি জাতীয় ফল খেতে পারেন। এটি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য স্ট্রবেরি, ব্ল্যাক বেরি এবং ব্লু বেরি ইত্যাদি ফল খাওয়া হয় সুন্দর ত্বকের জন্য।
গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল?
গর্ভকালীন সময়ে কোন কোন সূরা পড়লে সন্তান সুন্দর ও বুদ্ধিমান হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলঃ- আপনি যদি প্রথম মাসে সূরা-আল ইমরান পড়েন তাহলে আপনার সন্তান দামী হবে।
- দ্বিতীয় মাসে আপনি যদি সূরা-ইউসুফ পড়েন তাহলে আপনার সন্তান সুন্দর হবে। এবং আপনি যদি তৃতীয় মাসে সূরা মারিয়াম পড়েন তাহলে আপনার সন্তান সহিষ্ণু হবে। চতুর্থ মাসে আপনি যদি সূরা-লোকমান পড়েন তাহলে আপনার সন্তান বুদ্ধিমান হবে। পঞ্চম মাসে আপনি যদি সূরা মুহাম্মদ পড়েন তাহলে সন্তান চরিত্রবান হবে। ষষ্ঠ মাসে আপনি যদি সূরা ইয়াসিন পড়েন তাহলে আপনার সন্তান জ্ঞানী হবে। এছাড়াও সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দ্বশম মাসে সূরা-ইউসুফ, মুহাম্মদ এবং ইব্রাহিম কিছু কিছু পড়তে হবে।