হযরত শাহজালাল রাঃ এর জীবনী
হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার সিলেট শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক স্থান। এটি সিলেটের শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায়, সিলেট শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
![]() |
হযরত শাহজালাল রাঃ |
শাহজালাল (রহঃ)-এর মাজার মুসলিম ধর্মের অনুসারীদের জন্য এক অতি পবিত্র স্থান এবং এখানে প্রতি বছর হাজার হাজার মুসল্লি এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর জীবনী?
হযরত শাহজালাল (রহঃ) ছিলেন ১৪শ শতাব্দীতে সিলেটে আগমনকারী এক মহান পীর ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি তার আধ্যাত্মিক শক্তি ও শিক্ষা দিয়ে মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম প্রচার করেছিলেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর আধ্যাত্মিক জীবন ও কর্মের কারণে তাকে মুসলিম সমাজে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়।তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হযরত শাহপারান (রহঃ)। শাহজালাল (রহঃ) তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় সিলেটে কাটান এবং এখানকার মানুষের মাঝে ইসলাম ধর্মের মূলে গভীর প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি সিলেট অঞ্চলের উন্নতি ও কল্যাণে তার জীবনের সময় কাটিয়েছিলেন, যা তাকে একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করেছে।
মাজারের গুরুত্ব?
হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর মাজারটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। সিলেটের মানুষ এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা এখানে আসেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং দোয়া করতে।শাহজালাল (রহঃ)-এর মাজারে চলে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিশেষ করে "উরস" (মাজারের বার্ষিক অনুষ্ঠান), যা প্রতি বছর আয়োজিত হয় এবং এতে লাখ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এখানে আয়োজিত বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যক্রমের মধ্যে থাকে মিলাদ মাহফিল, কোরআন খতম, ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও ইবাদত।
এছাড়াও, মাজারের আশপাশে অনেক আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহৃত হয়। মাজারের আশপাশে অনেক দোকান-পাট, খাদ্য ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্মারক পাওয়া যায়।