শিশুর কান্না থামানোর দোয়া

ছোট বাচ্চাদের কান্না করা হল একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এই কান্নার বিষয়টি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই এটা ভেবে দেখা উচিত। আমাদের আশেপাশে অনেক শিশু বাচ্চা রয়েছেন। 

যারা মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে কান্না করে থাকে। তবে কি কারণে একটি শিশু বাচ্চা দিনে কিংবা রাতে অতিরিক্ত কান্না করছে। তা কিন্তু অনেক পিতা-মাতাই ভালভাবে বুঝে উঠতে পারেন না।
শিশুর কান্না থামানোর দোয়া
শিশুর কান্না থামানোর দোয়া
তাই শিশুর কান্না করা অতিরিক্ত মনে হলে এবং সন্দেহজনক হলে তা অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার উপর দিয়ে বিশ্বাস রেখে অনেক দোয়া রয়েছে সেই দোয়া গুলো পাঠ করতে পারেন। 

আপনারা মনে যদি সন্দেহ থাকে বদ নজরের কারণে বাচ্চা অতিরিক্ত কান্না করছে কিংবা জ্বীনের প্রভাবে এরকম হচ্ছে। 

তাহলে অবশ্যই অতি দ্রুত শিশুর কান্না থামানোর দোয়া পড়ে শিশুটির শরীরের ওপর ফু দিন অথবা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করুন। আমরা নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা উল্লেখ করছি। যেমনঃ
  • শিশুর কান্না থামানোর দোয়া
  • বাচ্চা রাতে কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়
  • বাচ্চার কান্না বন্ধ করার উপায় আমল দোয়া
  • বাচ্চা কান্না করলে কি দোয়া পড়তে হয়

শিশুর কান্না থামানোর দোয়া?

আপনার শিশুর কান্না পরিমাণে অতিরিক্ত মনে হলে অবশ্যই অতিদ্রুত নিচের দোয়াটি একটি নির্দিষ্ট নিয়মে পাঠ করে নিন। কেননা নিচে উল্লেখিত দোয়াটি শিশুর কান্না দ্রুত থামানোর জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। 

এমনকি কোন জিনের বদ নজর লাগলে। এবং তা থেকে নিচে দোয়াটি ব্যবহার করতে পারেন।  অতএব আরবিতে দোয়াটি হচ্ছেঃ
  •   شَهِدَ اللهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ
  •   وَالْمَلَيْكَةُ وَأُولُوا الْعِلْمِ قَابِما بِالْقِسْطِ
  •   لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

এবং এর বাংলা উচ্চারণঃ

শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, ওয়াল মালায়িকাতু, ওয়া উলুল্ ইলমি কায়িমাম বিক্বিসতি, লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল আযীযুল হাকীম।

আয়াতের বাংলা অর্থঃ 

আল্লাহ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নাই, এবং ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানীগণ তাঁহার সুবিচার বিশ্বাস করেন এবং সেই মহাপরাক্রান্ত বিজ্ঞানময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই।

যে নিয়মে আয়াতটি ব্যবহার করবেন?

উপরের আয়াতটি সুন্দর করে সাতবার পাঠ করতে হবে। সাত বার পাঠ করার পর একটি সুতার মধ্যে ফু দিয়ে গিট তৈরি করতে হবে। ঠিক এভাবে একটি সুতায় সাতটি গিট তৈরি করতে হবে। 

তৈরি করার পর কান্না করা শিশুর গলায় বেঁধে দিলেই চলবে। আশা করা যায় খুব দ্রুত আপনার শিশুর কান্না থেমে যাবে।

বাচ্চা রাতে কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়?

শিশু বাচ্চাদের কান্না থামানোর ক্ষেত্রে অনেকগুলো সূরা কাজ করে থাকে। তবে এর মধ্যে উল্লেখিত কুরআনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূরা হচ্ছে ইখলাস। এ সূরাটি পনেরো বার পাঠ করে বাচ্চার বাড়ির দিকে ফু দিলে সে শিশুর কান্না দ্রুত থেমে যায়। 

এছাড়াও বাচ্চা রাতের বেলা হঠাৎ করে কান্না করলে সূরা ফালাক তিন বার পড়ে বাচ্চার শরীরে ফু দিন। আশা করা যায় আল্লাহর রহমতে বাচ্চার কান্না ঠিক হয়ে যাবে।

বাচ্চার কান্না বন্ধ করার উপায় আমল দোয়া?

বিভিন্ন কারণে একটি শিশু কান্না করতে পারে। তবে অবশ্যই সকল পিতা-মাতার সন্তানের প্রতি খুবই সাবধান থাকা উচিত। 

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে তোমাদের শিশু বাচ্চাকে ঘর নিয়ে তোমরা দুধ পান করাও এবং তাদেরকে তোমরা ঘরের ভিতরে নিয়ে যাও এবং দরজা জানালা বন্ধ করে দাও।

চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, অনলাইন ইনকাম, পড়াশোনা, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে Today Post BD এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেনঃ https://todaypostbd.com

অতএব বাচ্চার কান্না বন্ধ করার উপায় গুলোর মধ্যে বিভিন্ন দোয়া এবং আমল রয়েছে। যেগুলো আপনার বাচ্চার কান্না থামানোর ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখিত বাচ্চার কান্না বন্ধ করার উপায় ও আমল হলঃ

রাতে এবং দিনে আপনার শিশু অতিরিক্ত কান্না করলে ইয়া হাসি বু আল্লাহর এই গুণবাচক নামটি অজু করে ১১বার পাঠ করে বাচ্চার শরীরে ফু দিবেন। ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়াও যেমনঃ
  • আয়তুল কুরসি পড়ে শরীরে ফুক দেওয়া।
  • পনেরো বার সূরা ইখলাস পড়ে শরীরে ফুক দেওয়া।
  • সুরা জীনের প্রথম ৫ আয়াত ৭বার পড়ে ফুক দেয়া।
  • সুরা নাস পড়ে ফুক দেয়া।

বাচ্চা কান্না করলে কি দোয়া পড়তে হয়?

একটি শিশু বাচ্চা বিভিন্ন কারণে কান্না করতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ গুলো হতে পারে বাচ্চার পেটে ব্যথা হওয়া, ক্ষুধার কারণে কান্না করতে পারে, গরম, ঠান্ডা এবং অস্বস্তির কারণেও কান্না করতে পারে। 

তাই অবশ্যই বাচ্চার কান্না অতি দ্রুত থামানো উচিত। বাচ্চা কান্না করলে কি কি দোয়া পড়তে হয় ইতিমধ্যে তা উপরে উল্লেখিত করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি দোয়া আপনাদের জন্য উল্লেখ করা হলঃ
  • বাচ্চার মাথার উপর হাত রেখে সুরা ফাতিহা, সূরা নাস, সূরা পাঠ করে ফু দিতে পারেন।
  • সূরা নাস এবং আয়াতুল কুরসি পাঠ বাচ্চাকে ফু দিতে পারেন।
  • বদ নজর দূর করতে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস অত্যন্ত কার্যকরী।
এছাড়া বাচ্চার কান্না মনে করার দোয়া ও বাচ্চা শরীর বন্ধ করার আমল নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

বিহাক্কি ওয়া ইন্নাকা লাআলা খুলুক্বি‌ন আযীমিন্‌, ওয়া বিহাক্কি ওয়া লাইছাজ্জাকারু কাল উনছা, ওয়া ইন্নী ছাম্মাইতুহা মারইয়ামা ওয়া ইন্নী উঈযুহা বিকা ওয়া যুররিয়্যাতাহা মিনাশ্‌ শাইত্বা‌নির রায়ীম। (এই দোয়াটি একবার পাঠ করে শিশুর উপরে ফু দিয়ে দিবে)।

বিসমিল্লা হির রাহমানির রাহিম। আল্লাহুম্মা ইন্নি আুযু বিকা মিন শররি মা খলকতু ও বারায়ে ওস্বয শরিয়তি আলা নাফিয়াতি ওকালাতি। (শিশুর শরীর বন্ধের দোয়া)।

শেষ কথা

আমি আশা করতেছি ইতিমধ্যে আজকের এই আর্টিকেলটিতে উল্লেখিত শিশুর কান্না থামানোর অনেকগুলো দোয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। দূঢ় বিশ্বাসের সাথে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত দোয়া গুলো আমল করুন।

অতএব এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে উপকৃত মনে হলে আপনাদের আশেপাশের সকল ব্যক্তিদের শেয়ার করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ
Next Post Previous Post