১০০ টি হাদিস

 ১। “যারা সুদ খায়, যারা সুদ দেয়, যারা সুদের সাক্ষী হয় এবং যারা সুদের আদান প্রদান লেখে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সকলকে অভিশাপ দিয়েছেন।” (বুখারীঃ ইবনে মাসউদ রাঃ)।
১০০ টি হাদিস
১০০ টি হাদিস

২. যখন রমযান শুরু হয় , তখন রহমতের দুয়ার খুলে দেয়া হয়। [সহীহ বুখারী]

৩. আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। [সহীহ বুখারী]

৪. সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। [সহীহ মুসলিম]

৫. সর্বোত্তম জীবন পদ্ধতি হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ প্রদর্শিত পদ্ধতি। [সহীহ মুসলিম]

৬. যে আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো। [সহীহ বুখারী]

৭. যে আমাকে অমান্য করলো সে আল্লাহকে অমান্য করলো। [সহীহ বুখারী]

৮. যে আমার সুন্নতকে ভালোবাসলো সে আমাকে ভালোবাসলো। [ সহীহ মুসলিম ]

৯. যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হলো , সে আমার লোক নয়। [ সহীহ মুসলিম ]

১০। কাজ নির্ভর করে নিয়্যতের উপর। [সহীহ বুখারী ]

১১. কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের ঘাড় সবচেয়ে লম্বা উঁচু হবে। [সহীহ মুসলিম]

১২. নিজের জন্যে যা পছন্দ করো, অন্যদের জন্যেও তাই পছন্দ করবে , তবেই হতে পারবে মুমিন। [সহীহ মুসলিম]

১৩. তোমাদের কেউ মুমিন হবেনা , যতোক্ষণ সে নিজের জন্যে যা পছন্দ করে , তার ভাইয়ের জন্যেও তাই পছন্দ না করবে। [সহীহ বুখারী]

১৪. হযরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ "ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত (এগুলো হল) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, সালাত আদায় করা, যাকাত আদায় করা, হজ্জ আদায় করা এবং রমাযানের ছিয়াম পালন করা। [বুখারীঃ ৭]

১৫. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছেন যে, "নিশ্চয় মানুষ এমন (কিছু) বাক্যের দ্বারা কথা বলে, এর দ্বারা সে জাহান্নামের মধ্যে এমন এক দূরত্বে পতিত হয়, যার দূরত্ব হবে পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত। [মুসনাদে আহমদ, আস-সহীহা: ৫৪০]

১৬. ইবনু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ "ঐ ব্যক্তি (প্রকৃত) মুমিন নয়; যে পরিতৃপ্ত থাকে আর পাশে তার প্রতিবেশী ক্ষুদার্থ থাকে। [ইবনে আবী শায়বা, হাকিম, আস-সহীহা:  ১৪৯]

১৭. হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ "যার মধ্যে তিনটি গুণ রয়েছে সে ঈমানের স্বাদ অনুভব করবে, (ক) তার কাছে অন্য সবার তুলনায় আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) প্রিয়তর হয়, (খ) কাউকে ভালোবাসলে আল্লাহর জন্যই ভালোবাসে, (গ) আগুনে ফিরে যাওয়াকে যেমন অপ্রিয় জানে, কুফরিতে ফিরে যাওয়াকে তেমন অপ্রিয় মনে করে। [বুখারীঃ ১৫]

১৮. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "প্রত্যেহ যখন সূর্য উঠে মানুষের (শরীরের) প্রত্যেক গ্রন্থির সাদকাহ্ দেয়া অবশ্য কর্তব্য।

দু'জন মানুষের মাঝে ইনসাফ করা হচ্ছে সাদকাহ্, কোন আরোহীকে তার বাহনের উপর আরোহন করতে বা তার উপর বোঝা উঠাতে সাহায্য করা হচ্ছে সাদকাহ্, ভাল কথা হচ্ছে সাদকাহ্, সালাতের জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপ হচ্ছে সাদকাহ্ এবং কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা থেকে সরানো হচ্ছে সাদকাহ্। [বুখারী: ২৯৮৯, মুসলিম: ১০০৯]

১৯. আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “বান্দা যখন সিজদায় থাকে তখন তার রবের সবচাইতে নিকটবর্তী হয়। কাজেই তোমরা (সিজদায় গিয়ে) বেশি করে দু’আ কর। [মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন- ১৪৯৮]

২০. আবু সাঈদ (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) বলেছেন: "মুসলিমকে যে কোন ক্লান্তি, অসুখ, চিন্তা, শোক এমনকি (তার পায়ে) কাঁটাও লাগে, আল্লাহ তাআলা এর মাধ্যমে তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।" 

[রিয়াদুস সালেহীনঃ ৩৮; সহীহ বুখারী-৫৬৪২, সহীহ মুসলিম-২৫৭৩, তিরমিযী-৯৬৬, আহমাদ-৭৯৬৯, ৮২১৯, ৮৯৬৬, ১০৬২৪]

২১. ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেছেন: "যদি আদম সন্তানের সোনার একটি উপত্যাকা হয়, তবুও সে চাইবে যে, তার কাছে দুটি উপত্যকা হোক। 

মাটিই একমাত্র তার মুখ পূর্ন করতে পারবে। আর যে তাওবা করে, আল্লাহ তাওবা গ্রহণ করেন।" [রিয়াদুস সালেহীনঃ ২৪; সহীহ বুখারী-৬৪৩৬, ৬৪৩৭, মুসলিম-১০৪৯, তিরমিযী-৩৭৯৩, ৩৭৯৮, আহমাদ-৩৪৯১, ২০৬০৭, ২০৬৯৭]

২২. আবু হামযা আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেছেন: "আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দার তাওবা করার জন্য ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা বেশী আনন্দিত হন, যে তার উট হারিয়ে ফেলার পর পুনরায় ফিরে পায়। [রিয়াদুস সালেহীনঃ ১৬; সহীহ বুখারী-৬৩০৯, মুসলিম-২৭৪৭, আহমাদ-১২৮১৫]

২৩. হারিসা ইবনে ওহব(রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী(সা:)কে বলতে শুনেছি: আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো: প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক।”  [বুখারী, মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন: ৬১৪]

২৪. আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, নাবী কারীম (সা) বলেন: "অতি ঝগড়াটে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ব্যক্তি ।"  [বুখারী, মুসলিম, আস-সহীহা: ৩৯৭০]

২৫. আবু হুরায়রা (রা) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত, নিশ্চয় জান্নাতে (কোন) ব্যক্তির মর্যাদা (অনেক) বৃদ্ধি করা হবে। সে বলবে, আমার জন্য কিভাবে এটা হলো? 

অতঃপর তাকে বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের (ক্ষমা প্রার্থনা) ইস্তেগফার করার কারণে। [ইবনু মাজাহ, আহমাদ, আস-সহীহা: ১৫৯৮]

২৬. আনাস (রা) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত, "যখন কোন বান্দা তার ভাইয়ের সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎ করতে আসে তখন আসমানে এক ঘোষক ঘোষণা করেন যে, তোমার মঙ্গল হোক এবং জান্নাত তোমার জন্য উত্তম হোক। 

আর আল্লাহ তা'আলা আরশের ফেরেশতাদের বলেন, আমার বান্দা আমার সাথে সাক্ষাৎ করেছে । আমার জন্য তার মেহমানদারী করা আবশ্যক। আমি জান্নাত ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা তার মেহমানদারী করতে নারাজ। [আস-সহীহা: ২৬৩২]

২৭. ইবনু উমার (রা) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত, "মুমিনগণ সহজ সরল ও নম্র-ভদ্র স্বভাবের হয়ে থাকে। গৃহপালিত উট যেমন (শান্ত-শিষ্ট হয়ে থাকে), যদি তাকে থামানো হয় তবে সে থেমে যায়। 

আর যদি চালানো হয় তবে চলে। যদি তুমি তাকে পাথরের উপর বসাও তবুও সে বসে। [আস-সহীহা: ৯৩৬]

২৮. মিকদাম ইবনু মা'দী কারিব (রা) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত, "যখন তোমাদের কেউ তার (অপর মুসলিম) ভাইকে ভালোবাস, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালোবাসে। [আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনু হিব্বান, আস-সহীহা: ৪১৭]

২৯. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন: "যখন তিনজন ব্যক্তি একত্রে থাকে, তখন যেন তৃতীয় জনকে রেখে দু'জন কানে কানে কথা না বলে।"
- [মুসনাদে আহমাদ, আস-সহীহা: ১৪০২] 

৩০. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রা) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত," যখন রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে তখন বাচ্চাদের (ঘর থেকে বের হতে) বাধা দিবে। 

কারণ, শাইত্বান ঐ সময় ছড়িয়ে পড়ে। যখন ইশার সময় অতিক্রান্ত হয়ে যায় তখন তাদের ছেড়ে দিবে। [বুখারী, আস-সহীহা: ৪০]

৩১. আবু হুরায়রা (রা) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত, মানুষের মধ্যে প্রিয় ঐ ব্যক্তি, যে চাওয়ার ক্ষেত্রে অক্ষমতা দেখায়। আর মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ঐ ব্যক্তি যে সালামের ক্ষেত্রে কৃপণতা দেখায়। [ইবনু হিব্বান, আস-সহীহা: ৬০১]

৩২. আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূল (স.) বলেছেন যে তার হালাল রোযগার থেকে একটি খেজুর পরিমাণ দান করবে (আল্লাহ তা কবুল করবেন) এবং আল্লাহ হালাল বস্তু ছাড়া কিছুই গ্রহন করেন না। 

আর আল্লাহ তা তার ডান হাতে গ্রহণ করবেন। অতঃপর তার দানকারীর জন্য তা প্রতিপালন করতে থাকেন যেরূপ তোমাদের কেউ তার অশ্ব-শাবককে লালন-পালন করতে থাকে। 

অবশেষে একদিন তা পাহাড় সমতুল্য হয়ে যায়। [সহীহুল বুখারী হা/৭৪৩০, ১৪১০: (তাওহীদ প্রকাশনী); সহীহুল মুসলিমঃ ২২১১]

৩৩. আবূ হুরাইরাহ আব্দুর রহমান ইবনুূ সাখর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দেহ এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।  [সহীহুল বুখারী ৫১৪৪, ৬০৬৬, মুসলিম ২৫৬৪]

৩৪. আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী (সঃ) আমাকে বলেছেন তুমি পূণ্যের কোন কাজ কে তুচ্ছ মনে করো না। 

যদিও তুমি তোমার (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাত করতে পার। [রিয়াদুস সালেহীনঃ ১২৩, মুসলিম- ২৬২৬, তিরমিযী- ১৮৩৩, ইবনে মাজাহ- ৩৩৬২, দারেমী- ২০৭৯]

৩৫. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন: "তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির সঙ্গে যায়ঃ আত্মীয়-স্বজন, তার মাল ও তার আ'মল। 

অতঃপর দুটি জিনিস ফিরে আসে এবং একটি জিনিস রয়ে যায়। তার আত্মীয়-স্বজন ও তার মাল ফিরে আসে এবং তার আ'মল (তার সঙ্গে) রয়ে যায়। [রিয়াদুস সালেহীন- ১০৬, বুখারী- ৬৫১৪, মুসলিম- ২৯৬০, তিরমিযী- ২৩৭৯, নাসায়ী- ১৯৩৭, আহমাদ- ১১৬৭০]

৩৬. আবূ হুরাইরা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন: “মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আমার পুণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন জিনিস প্রস্তুত রেখেছি, যা কোন চক্ষু দর্শন করেনি, কোন কর্ন শ্রবন করেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। 

তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার; যার অর্থ- “কেউই জানে না তার জন্য তার কৃতকর্মের বিনিময় স্বরূপ নয়ন-প্রীতিকর কী পুরস্কার লুকিয়ে রাখা হয়েছে। (সূরা সাজদাহ- ১৭)" [সহীহুল বুখারী- ৩২৪৪, ৪৭৭৯,৪৭৮০]

৩৭. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সঃ) তাঁর মহান প্রভু হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তাআলা বলেন:
"যখন বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তখন আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। 

যখন সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয় তখন আমি তার দিকে দুই হাত অগ্রসর হই। আর যখন সে আমার দিকে হেঁটে আসে তখন আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। 

[রিয়াদুস সালেহীনঃ ৯৭, বুখারী-৭৫৩৬,৭৪০৫, ৭৫২৭, মুসলিম-২৬৭৫, তিরমিযী-২৩৮৮, ৩৬০৩, ইবনে মাজাহ-৩৮২২, আহমাদ-৭৩৭৪, ২৭৪০৯, ৮৪৩৬]

৩৮. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেছেন: "আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দুঃখ কষ্টে ফেলেন। [রিয়াদুস সালেহীনঃ ৪০; বুখারী-৫৬৪৫, আহমাদ-৭১৯৪, মুওয়াত্তা মালেক-১৭৫২]

৩৯. যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ বানায় , আল্লাহ জান্নাতে তার জন্যে একটি ঘর বানায়। [ হীহ বুখারী]

৪০. দান হচ্ছে একটি প্রমাণ। [সহীহ মুসলিম]

৪১. যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে , সে যেনো উত্তম কথা বলে। [সহীহ বুখারী] 

৪২. ডান হাতে খাও এবং যা নিকটে তা থেকে খাও। [সহীহ বুখারী]

৪৩. যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে , সে যেনো নিজের মেহমানকে সম্মান -যত্ন করে । [সহীহ বুখারী]

৪৪. প্রতিটি ভালো কাজ একটি দান। [সহীহ বুখারী]

৪৫. মুসলমান সে , যে নিজের অনিষ্টকর ভাষা ও কর্ম থেকে মুসলমানদের নিরাপদ রাখে। [সহীহ বুখারী]

৪৬. মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী আর হত্য করা কুফরী। [সহীহ বুখারী]

৪৭. প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে অপর মুসলমানদের রক্ত , সম্পদ ও ইজ্জত সম্মানযোগ্য। [সহীহ মুসলিম]

৪৮. মুহাজির সে ,যে আল্লাহর নিষেধ করা কাজ ত্যাগ করে। [সহীহ বুখারী]

৪৯।সবর হলো আলো। [সহীহ মুসলিম]

৪৯. যে কাউকেও প্রতারণা করলো সে আমার লোক নয়। [সহীহ মুসলিম]

৫০. তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করোনা , ঘৃণা বিদ্বেষ কারো না এবং পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা । [সহীহ মুসলিম]

৫১. রোগীর সেবা করো এবং ক্ষুধার্তকে খেতে দাও। [সহীহ বুখারী]

৫২. আল্লাহ সকল কিছুর প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখাবার নির্দেশ দিয়েছেন। [সহীহ মুসলিম]

৫৩. প্রত্যেক ব্যক্তি তার কাজের সেই ফলই পাবে,যা সে নিয়্যত করেছে। [সহীহ বুখারী]

৫৪. আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাহর সাহায্য করেন , যতোক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে। [সহীহ মুসলিম]

৫৫. যে তার প্রভুকে স্মরণ করে , আর যে করেনা , তাদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো। [সহীহ মুসলিম]

৫৬. যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে , সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। [সহীহ মুসলিম]

৫৭. তোমাদের মাঝে সালাম আদান প্রদানের ব্যাপক প্রচলন করো। [ সহীহ মুসলিম ]

৫৮. যে মানুষের প্রতি দয়া করেনা , আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেননা। [সহীহ বুখারী]

৫৯. মনের প্রাচুর্যই আসল প্রাচুর্য । [সহীহ বুখারী]

৬০. প্রতিটি শোনা কথা বলে বেড়ানোটাই মিথ্যাবাদী হবার জন্যে যথেষ্ট। [সহীহ মুসলিম]

৬১. শক্তিশালী সে , যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। [সহীহ মুসলিম]

৬২. যার কর্ম তাকে ডুবায় , তার বংশ তাকে উঠাতে পারেনা। [সহীহ মুসলিম]

৬৩. যে ব্যক্তি একজন মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। [সহীহ মুসলিম]

৬৪. প্রতিটি বান্দা কিয়ামতে তাই নিয়ে উঠবে , যা নিয়ে সে মরেছে । [সহীহ মুসলিম]

৬৫. আল্লাহ তোমাদের চেহারা সুরত ও ধনসম্পদ দেখবেননা,তিনি দেখবেন তোমাদের অন্তর ও কাজ [সহীহ মুসলিম]

৬৬. তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারা,যাদের আচার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। [সহীহ বুখারী ]

৬৭. আল্লাহর নবীর চরিত্র ছিলো ঠিক কুরআনের মতো। [আয়েশা রাঃ সহীহ মুসলিম ]

৬৭. দীন খুব সহজ [সহীহ বুখারী]

৬৯. আল্লাহ যার ভালো চান, তাকে দীনের সঠিক জ্ঞান দান করেন। [সহীহ বুখারী]

৭০. দুনিয়া মুমিনের জন্যে কারাগার আর কাফিরের বেহেশত। [সহীহ মুসলিম]

৭১. দুনিয়াতে এমন ভাবে জীবন যাপন করো যেনো তুমি একজন গরীব কিংবা পথিক। [ সহীহ বুখারী ]

৭২. পৃথিবীতে মসজিদগুলোই আল্লাহর সবচাইতে প্রিয় জায়গা। [ সহীহ মুসলিম ]

৭৩. আমার জন্যে গোটা পৃথিবীকেই সিজদার জায়গা এবং পবিত্র করে দেয়া হয়েছে। [সহীহ বুখারী]

৭৪. অনুমান ও কুধারণা করা থেকে বিরত থাকো , কেননা অনুমান হলো বড় মিথ্যা কথা। [সহীহ বুখারী]

৭৫. যুলম করা থেকে বিরত থাকা । কেননা , কিয়ামতের দিন যুলম অন্ধকারের রূপ নেবে। [সহীহ মুসলিম]

৭৬. যলুমের ফরিয়াদ থেকে আত্মরক্ষা করো। [সহীহ বুখারী]

৭৭. মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ভাইয়ের প্রতি যুলম করেনা এবং তাকে অপমানিতও করেনা। [সহীহ মুসলিম]

৭৮. মুমিন মুমিনের সাথে প্রাচীরের গাঁথুনির মতে মজবুত সম্পর্ক রাখে। [সহীহ বুখারী]

৭৯. যে নেতার আনুগত্য করলো, সে আমারই আনুগত্য করলো। [সহীহ বুখারী]

৮০. যে নেতার অবাধ্য হলো সে আমার অবাধ্য হলো। [সহীহ বুখারী]

৮১. কারো এমন হুকুম মানা যাবেনা , যাতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করতে হয়। [সহীহ মুসলিম]

৮২. বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো , তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা । [ সহীহ বুখারী ]

৮৩. বলো : ‘ আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি ; অতপর এ কথার উপর     অটল থাকো । [ সহীহ মুসলিম ] 

৮৪. যে কেউ এই ঘোষণা দেবে : ‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই আর মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসূল আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্যে নিষিদ্ধ করে দেবেন। [সহীহ বুখারী]

৮৫. ঘুষদাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের উপর আল্লাহর অভিশাপ।” (বুখারী : ইবনে উমর রাঃ)

৮৬. যে  পবিত্র থাকতে চায় , আল্লাহ তাকে  পবিত্র রাখেন। [সহীহ বুখারী]

৮৭. সালাত হলো ‘ নূর’ । [সহীহ মুসলিম]

৮৮. মতভেদ কারোনা। তোমাদের পূর্বে যারা মতভেদ করেছিল , তারা ধ্বংস হয়েছে। [সহীহ বুখারী]

৮৯. গোটা সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবারের জন্যে বেশী উপকারী , সে তাঁর কাছে বেশী প্রিয়। [সহীহ মুসলিম]

৯০. রসূলুল্লাহ (সাঃ) কাছে কিছু চাওয়া হয়েছে আর তিনি ‘ না’ বলেছেন , এমন কখনো হয়নি। [ জাবির : সহীহ বুখারী ]

৯১. আমি প্রেরিত হয়েছি রহমত হিসেবে। [সহীহ মুসলিম]

৯২. আমার উম্মতের উত্তম লোক হলো আমার সময়ের লোকেরা । [সহীহ বুখারী]

৯৩. আমার সাহাবীদের গালি দিওনা। [সহীহ বুখারী]

৯৪. আমি যদি আমার প্রভুকে ছাড়া আর কাউকেও বন্ধু বানাতাম , তবে অবশ্যি আবু বকরকে বন্ধু বানাতাম । [সহীহ বুখারী]

৯৫. আমি আল্লাহর কাছে দিন একশ ’ বার ক্ষমা প্রার্থনা করি। [সহীহ মুসলিম]

৯৬. বান্দাহ যখন অপরাধ স্বীকার করে এবং তাওবা করে , তখন আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন। [সহীহ বুখারী]

৯৭. হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই দুশ্চিন্তা থেকে , মনোকষ্ট থেকে , বার্ধক্য থেকে , আলস্য ও কাপুরুষতা থেকে এবং কৃপণতা ও ঋণের বোঝা থেকে । [সহীহ বুখারী]

৯৮. হে আল্লাহ ! আমার অন্তরে আল্লাহভীতি দাও এবং তাকে পরিশুদ্ধ করো। তুমিই তো তার উত্তম পরিশুদ্ধকারী । [সহীহ মুসলিম]

৯৯. হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে চাই হিদায়াত , আল্লাহভীতি , পবিত্র জীবন এবং প্রাচুর্য । [সহীহ মুসলিম]

১০০. ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীকে দেখতে যাও এবং ক্রীতদাসকে মুক্ত কর। (বুখারী)
Next Post Previous Post