শবে কদরের নামাজ কত রাকাত
লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এটি মূলত ফারসি শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে মহিমান্বিত রাত ও সম্মানিত রাতও বলা হয়ে থাকে। লাইলাতুল কদর অর্থ হল বরকতময় ও সম্মানিত রাত। শবে কদর হাজার মাসের চেয়ে অধিক উত্তম।
![]() |
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত |
যা আমাদের মুসলিম জাতির জন্য একটি নেয়ামত। এই রাতে আপনারা যত বেশি এবাদত করতে পারেন, করে নিবেন। কারণ এ রাতের মতো ফজিলত পূর্ণ রাত পাওয়া বড়োই সৌভাগ্যের বিষয়।
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত?
শবে কদর নামাজ কত রাকাত মূলত এর কোন সহিহ হাদিস খুজে পাওয়া যায় নি। তবে কমপক্ষে আট রাকাত থেকে শুরু করে উপরে যত বেশি পড়া যায় ততই সওয়াব লাভ করা যায়। নামাজের পাশাপাশি এ রাতে কোরআন তেলাওয়াত করা উত্তম।আপনাদের দুই রাকাত করে নফল নামাজ নিয়ত করতে হবে। যত বেশি দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়া যায় ততই গুনাহ মাফ ছেয়ে রহমত পাওয়া যায়। শবে কদর রাতে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এর ওপর সম্পূর্ণ কোরআন নাজিল করা হয়েছিল।
সেজন্য এই রাত মহান আল্লাহ তাআ’লা এত রহমত, বরকত ও সম্মানিত করেছেন। এই রাতের এবাদত হাজার মাসের চেয়েও বেশি। শবে কদর নামাজের পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন। বেশি বেশি দোয়া পড়বেন। ইস্তেগফার পড়বেন।
এবং তওবা করবেন। এই রাতে ভাল কাজ করবেন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। আল্লাহ তাআলার কাছে যা যা প্রয়োজন তা চাইবেন। এই রাতের জন্য সব দোয়া আল্লাহ তাআ’লা কবুল করবেন। রমজান মাসের শেষের দশ দিন অর্থাৎ নাজাতের ১০ দিন বিজোড় রাতগুলো হল শবে কদরের রাত।
(যেমনঃ ২১, ২৩, ২৫, ২৭, এবং ২৯ রমজান)। রমজানের এই রাত গুলোতে শবে কদর হতে পারে। তাই আমরা এই বিজোড় রাত গুলোতে বেশি বেশি আমল গুলো করব। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সাঃ) বলেছেন, হে আমার উম্মতরা তোমরা রমজানের শেষ দশ দিনে লাইলাতুল কদর সন্ধান করো।
শবে কদরের রজনিতে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সারা রাত নফল নামাজ, কোরআন ও হাদিসের আলোকে জিকির, কবর জিয়ারত এবং নিজের কৃত গুনাহর জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব।
তাহলে আমরা এখন জানতে পারলাম যে, শবে কদর নামাজ কত রাকাত। ২ রাকাত করে যত বেশি বেশি নামাজ পড়া যায় ঠিক ততই সোয়াব লাভ করা যাবে। আল্লাহ তাআ’লা সবাইকে এই শবে কদর পাওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।